২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর নৌকা জাল নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাগর ও নদীতে নেমেছেন কুয়াকাটার উপকূলের জেলেরা। অবরোধ পরবর্তী সমুদ্রে-নদীতে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ। তবে অধিকাংশ ইলিশের পেটে এখনো রয়েছে পরিপক্ব ডিম।
এদিকে মা’ ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের সপ্তাহ না পেরুতেই শুরু হচ্ছে জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম। এতে অনেকটা ম্লান হচ্ছে জেলেদের আনন্দ। মহাজনের দাদন পরিশোধ নিয়ে মহাবিপাকে পড়বে উপকূলের হাজার হাজার জেলে।
উপকূলের জেলেদের দাবি- বর্তমানে মাছ ধরা পরলেও তারা গত ২২ দিনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এরপরে মরার ওপর খরার ঘাঁ হয়ে দেখা দিয়েছে জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম। ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস চলবে দেশের বিভিন্ন নদী ও সমুদ্রে জাটকা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। সরকারি এমন নির্দেশনা থাকায় আবারও বেকার হতে চলেছে উপকূলের হাজার হাজার জেলে।
মহিপুরের জেলে ছোবান বরিশালটাইমসকে বলেন, এই সময় নদী-সাগরে জাল ফেললে স্বাভাবিক ভাবেই কিছু জাটকা তাদের জালে আটকা পড়ে। জাল থেকে খুলতে না খুলতেই মারা পড়ে এসকল জাটকা। অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও এ সব জাটকা বহন করেন তারা। এতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে জেল জরিমানার শিকারও হন অনেকে। তাই এসময়ে বাধ্য হয়েই মাছ শিকার বন্ধ রাখেন অনেক জেলে।
মৎস্য বন্দর আলীপুরের খালেক মাঝি বরিশালটাইমসকে জানান, এসময় সংসারের অভাব অনটনের কারণে অনেকটা বাধ্য হয়েই মহাজনের কাছ থেকে দাদন নেয় তারা। কুয়াকাটার জেলে আবুল জানান- এসময় পূনর্বাসনের জন্য ৪০ কেজি করে ৪ মাসের যে সরকারি বরাদ্দ থাকে তাও জেটেনা এসব জেলেদের ভাগ্যে।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আবুল হাসানাত জানান, এ সময়ে সকল জেলেকে খাদ্য সহায়তার আওতায় নিয়ে আসা ও সাহায়তা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবনা রয়েছে। তার দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছেন ৫৯,১১৬ জন ভিজিএফ পান ২৫১৭৩ জন ভিজিএফ কর্মসূচির আওতা থেকে বাদ পরেন ৩৩৯৪৩ নিবন্ধিত জেলে। ইলিশ সংরক্ষণ মৌসুমে জেলেদের পুর্ণবাসনে সরকারের কার্যকরী উদ্যোগ নেয়ার দাবি এ পেশার সাথে সংশ্লিষ্টদের।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply